স্বাধীণতা বনাম মুক্তি

এস এম মেসবাহ্‌ আর রহমান
নির্বাহী পরিচালক
চিন্তার চাষ

স্বাধীনতার দুর্নিবার আকাঙ্খা মানুষের চিরন্তন সহচর। একটুখানি স্বাধীনতার জন্য মানুষ এক বিন্যাস থেকে ধাবিত হয় অন্য এক ভৌগলিক বিন্যাসে। জাতিগত ও গোষ্ঠীগত স্বাধীনতার প্রয়োজনে ঝরেছে বহু রক্ত। নৃতাত্ত্বিক মুক্তিকেই মানুষ পরম পাওয়া মনে করেছে বহুকাল, যার ধারাবাহিকতায় সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন রাষ্ট্র। ভৌগলিক স্বাধীনতার আড়ালে চিরকাল যে বিষয়টি  চাপা পড়েছে তা হলো মানুষের স্বাধীনতা। যে শৃঙ্খল ভাঙ্গার সংকল্পে ব্যীক্ত মানুষ লড়াই করে ভৌগলিক স্বাধীনতা আনে বাস্তবে স্বাধীন দেশে সেই একই শৃঙ্খল তার পায়ে দৃশ্যমান হয়। মানুষ ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত, বিভ্রান্ত। স্বাধীন দেশে কার বিরুদ্ধে সে লড়াই করবে? দৃশ্যমান কোন প্রতিপক্ষই সে খুঁজে পায়না। তবে পায়ের শেকলের স্বরূপ সে উন্মোচন করে। সে শেকল হলো শোষনের শেকল যা ছিল পূর্বের সকল অধীনতার যুগেও। অর্থনৈতিক শোষণের যাতাকলে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী চিরকালই পৃথিবীর কোন না কোন অঞ্চলে ক্ষুদ্রতর শোষক শ্রেণী দ্বারা নিস্পেষিত হয়েছে। তাই স্বাধীনতার মানে শুধু ভৌগলিক স্বাধীনতা নয়- এর অপর নাম হোক মানুষের মুক্তি।

Share This