স্কুল গবেষণা কার্যক্রম

প্রেক্ষাপট

জাতীয় উন্নয়ন ও সভ্যতার অগ্রযাত্রায় গবেষণা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে গবেষণা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিদ্যমান অনগ্রসরতা এদেশের উন্নত বিশ্বে উত্তোরণের পথে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। এই অনগ্রসরতার কারণ হলো নিজেদের সৃজনশীলতা লালনের মাধ্যমে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাসের অভাব। ফলে প্রতি বছর বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে হাজার হাজার মেধাবী ছাত্র। দেশের অগ্রযাত্রার প্রয়োজনে স্কুল থেকেইে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে চিন্তা ও উদ্ভাবনী শক্তির লালন প্রয়োজন। বিষয়টিকে স্বীকার করে সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে মাধ্যমিক স্তরে সৃজনশীল পদ্ধতি প্রবর্তন করেছে। কিন্তু মুক্ত চিন্তা শুধু পাঠ্যসূচিতে সীমাবদ্ধ রেখে কাঙ্খিত ফল লাভ সম্ভব নয়। প্রয়োজন, গবেষণাকে আমাদের সংস্কৃতির অঙ্গে পরিণত করা। তাই স্কুলে স্কুলে গবেষণা ক্লাব গঠনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মননে গবেষণা কর্মকে গ্রথিত করার প্রক্রিয়া হিসেবে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। 

সার্বিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাভাবিক চিন্তা শক্তির লালন
ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটানো।
বৈশ্বিক বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পূর্বে ছাত্র-ছাত্রীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি।
কার্যক্রম

স্কুলে গবেষণা চর্চাশীর্ষক কর্মসূচির আওতায় যেসব কার্যক্রম পরিচালিত হবে তাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা:

গবেষণা শিক্ষা কার্যক্রম

ক) প্রাকৃতিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের সিলেবাস সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ঘটনা/সমস্যা প্রজেক্টরের মাধ্যমে (ভিডিও/স্লাইড) প্রদর্শন।

উদাহরণ: নগরের বিভিন্ন সমস্যা, পরিবেশগত বিভিন্ন সমস্যা, গ্রিন হাউজ ইফেক্ট ইত্যাদি।

খ) ৮ম হতে ১০ম শ্রেণির বোর্ড সিলেবাস সংশ্লিষ্ট পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, জীব বিজ্ঞান, ভূগোল, কৃষি ও সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন ব্যবহরিক বিষয় (topic) হাতে কলমে প্রদর্শন।

উদাহরণ: তড়িৎ-চুম্বকীয় ধর্ম, আলোর র্ধম, অনুবিক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে কোষ প্রদর্শন, বিভিন্ন বর্ণিল বিক্রিয়া, ইত্যাদি।

গ) প্রত্যেক ছাত্র / ২-৩ জন ছাত্রের একটি গ্রুপকে দিয়ে আলাদা আলাদা বিষয় (topic) এর উপর গবেষণা পরিচালনা করা।

উদাহরণ: নিজ এলাকায় যানজট/জলাবদ্ধতা/অপরিচ্ছন্নতার কারণ ও প্রতিকার নির্ণয়। কোন কোন ফল/মাছ কত ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ফরমালিন দূর হয় ইত্যাদি।

মূল্যায়ন কার্যক্রম

ক) প্রতি স্কুলে বছরে একটি কনফারেন্স আয়োজন যাতে নিম্নবর্ণিত ইভেন্ট থাকবে:

১. গবেষণাপত্র প্রদর্শন।

২. সামাজিক ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রদর্শন (বিজ্ঞান মেলা)।

৩. সমস্যা উল্লেখ করে তা সমাধানে প্রস্তাবনা প্রদর্শন।

৪. প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গবেষণাপত্র, সমস্যা সমাধান প্রস্তাবনা ও বিজ্ঞান প্রজেক্ট প্রদর্শনকারীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ।

খ) গবেষণাপত্রের প্রকাশনা।

কাঙ্খিত ফল

চিন্তা ও উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশের মাধ্যমে এরূপ একটি প্রজন্ম তৈরি হবে যারা বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিযোগিতার মধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নততর আসনে নিয়ে যাবে ।

Share This