মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
চেয়ারম্যান
চিন্তার চাষ
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
চেয়ারম্যান
চিন্তার চাষ
জাতীয় জীবনে চলছে এক প্রচন্ডরকম অস্থিরতা, বিষন্নতা- এ যেন গ্রহণের কাল। কঠিনতম অস্থিরতা ও বিষন্নতার থাবা রাতের কোল জুড়ে প্রতিনিযতই নামিয়ে আনছে এক অশুদ্ধ আঁধার। তিমির ক্রমশই গভীরতম হচ্ছে। সমান্তরালে চলছে বিকাশের পর্ব। কারণ উত্থান, বিকাশ আর পতনের সোপান বেয়েই তৈরি হয় নব সৃষ্টির আনন্দ-উল্লাস ।
একটা সময ছিল যখন ভাবতাম বুড়িগঙ্গা কি আর কখনো ফিরে পাবে না যৌবন? যখন পরিবেশ রাক্ষার দাবী নিয়ে প্লাকার্ড হাত রাস্তায় দাড়িয়েছি, দেখেছি পথিক হাসছে; ভেবেছি হয়তো সময হযনি। কখনো ভেবেছি একজনও কি নেই যে ভাবছে সে শিশুটির কথা, এক ব্রাগ রক্তই যার হাসি ফিরিয়ে দিতে পারে। ভাবতাম মানুষ কি এতই স্বার্থপর হয়ে গেছে? কেউ কি কথা বলবেনা সেই সব মানুষদের জন্য যারা নির্যাতিত হওয়ার কারণে কেবলই মুক্তির সন্ধানে ফিরছে? …. ইত্ত্যাকার প্রশ্নগুলো যখন আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তখন কতই না ঘুরে বেড়িয়েছি; হতাশার অন্ধকারে হাতড়ে বেড়িয়েছি। এক সময় পেয়েও গিয়েছি তাদের যারা আমার ভাবনাগুলোর সঙ্গী হতে এসেছে।
মনে পড়ে এইতো সেদিন, জন্ম লাভ করলো সঙ্গে থাকা মানুষগুলোর ভাবনার এক প্রতিবিম্ব ন্যাশনাল কংগ্রেস অব ভলান্টিয়ারস, সংক্ষিপ্ত নাম এনসিভি। মেসবাহ-র চিন্তার চাষ, আরিফের ইনিশিয়েটিভ ফর পিস (আইএফপি), মাহবুব-আফরিনের মানুষ, জুনাইদের ডিবেট ফর হিউম্যানিটি (ডিএফএইচ), জাহিদের গন্তব্য, ফরিদের হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশেন আর মিঠুর স্বপথ মিলে হযে গের এনসিভি। ইতিহাসের অনন্ত অভিযাত্রায় এক নতুন পথচলা।
তারপর এগিয়ে চলল এ ধাবমান বাহন, যেখানে প্রতিনিয়তই যোগ হচ্ছে নতুন সম-ভাবনার সঙ্গীরা।
আজ যে কনভেনশন সেটা তো সমভাবনার মানুষদের এক বিকশিত রূপ। আশা করছি এটাই হবে তিমির বিনাশী এক অভিযাত্রা, এখানেই ধ্বনিত হউক তিমির হননের আহ্বান।
সঙ্গীদের উদ্দেশ্যে তারাস বুলবা –
সাথীত্বের চেয়ে পবিত্রতর কিছুই নেই। বাবা ভালবাসে তার সন্তানকে, মা ভালোবাসে তার সন্তানকে, সন্তান ভালবাসে তার বাবা-মাকে । কিন্তু এ এক অন্ন্য জিনিস, ভাইসব, জন্তুরাও ভালবাসে তাদের বাচ্চাদের। কিন্তু কেবল রক্তের নয় অন্তরের আত্মীয়তা, এ আছে কেবল মানুষের।
– তারাস বুলবা, নিকোলাস গোগোল